রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া গ্রামে মহাপ্রসাদের বৈদিক নাটক: ভগবান প্রসাদের আবির্ভাব কাহিনী



আসন্ন দিনে রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক অনন্য বৈদিক নাট্য আয়োজন। প্রেমনিধি নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হবে “মহাপ্রসাদ” নাটক, যেখানে ফুটে উঠবে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর প্রসাদের আবির্ভাব কাহিনী।

নাটকের কাহিনী

এই নাটকে দেখানো হবে কিভাবে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর প্রসাদ—যা আজ “মহাপ্রসাদ” নামে পরিচিত—এই জগতে আগমন করল।

  • দেবী লক্ষ্মীর কাছ থেকে নারদ মুনি প্রসাদ লাভ করেন।
  • নারদের নখের কোণে থেকে সামান্য কিঞ্চিত প্রসাদ পান মহাদেব।
  • সেই প্রসাদ পেয়ে মহাদেব আনন্দে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন।
  • দেবী দুর্গা কারণ জানতে চাইলে শিব জানান যে তিনি নারায়ণের প্রসাদ পেয়েছেন।
  • দুর্গা দেবীও প্রসাদ চান, কিন্তু শিব জানান তিনি আর দিতে পারবেন না।
  • এতে দেবী কটোর তপস্যায় লীন হন। তাঁর তপস্যায় সমগ্র সৃষ্টি রুদ্র হয়ে ওঠে।
  • অবশেষে ভগবান নারায়ণ প্রকাশিত হয়ে দেবী দুর্গাকে বর দেন।
  • দেবী শুধু নিজের জন্য নয়, মর্তলোকে জীবজন্তু ও মানুষ যেন সেই মহাপ্রসাদ পায় এবং জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করে—এই বর প্রার্থনা করেন।

ভগবান নারায়ণ তাঁর প্রার্থনা পূর্ণ করেন। আর এভাবেই পৃথিবীতে মহাপ্রসাদের আবির্ভাব ঘটে।

নাটকের মূল বার্তা

এই নাটক কেবল একটি কাহিনী নয়, বরং একটি চিরন্তন শিক্ষা। ভগবানের মহাপ্রসাদ মানুষকে আধ্যাত্মিক মুক্তি দেয়, আর ভক্তির মাধ্যমে মানুষ পৌঁছায় সত্যিকারের শান্তি ও মুক্তির পথে।

অনুষ্ঠানের সময় ও স্থান

  • স্থান: রাঙ্গুনিয়া পারুয়া গ্রাম
  • নাটক: “মহাপ্রসাদ”
  • পরিবেশক: প্রেমনিধি নাট্য গোষ্ঠী

দর্শক ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের আমন্ত্রণ

যারা বৈদিক কাহিনী ও আধ্যাত্মিক ভক্তিতে বিশ্বাসী, তাদের জন্য এই নাটক হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। “মহাপ্রসাদ” নাটক শুধু বিনোদন নয়—এটি ভক্তির মাধ্যমে ভগবানের কৃপা ও প্রসাদের মাহাত্ম্যকে উপলব্ধি করার এক অসাধারণ যাত্রা।

তাই দেরি না করে চলে আসুন রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া গ্রামে এবং উপভোগ করুন প্রেমনিধি নাট্য গোষ্ঠীর এই মহৎ আয়োজন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ