মহা অষ্টমীতে দক্ষিণ মেখল বণিক পাড়ায় প্রেমনিধি নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় বৈদিক নাটক “মাতৃ পিতৃ ভক্তি”



মহা অষ্টমীর পবিত্র রাতে দক্ষিণ মেখল বণিক পাড়া এক মহৎ সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখরিত হতে যাচ্ছে। এদিন প্রেমনিধি নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হবে সম্পূর্ণ বৈদিক নাটক “মাতৃ পিতৃ ভক্তি”

এই বিশেষ আয়োজন শুধু একটি নাটক নয়, বরং এটি হবে প্রাচীন বৈদিক মূল্যবোধের পুনর্জাগরণ, যেখানে মাতৃ ও পিতৃ ভক্তির মাহাত্ম্য হৃদয়ে দাগ কেটে যাবে প্রতিটি দর্শকের।

নাটকের মূল বিষয়বস্তু

“মাতৃ পিতৃ ভক্তি” নাটকটি সন্তানদের জীবনে মা-বাবার স্থান ও গুরুত্বকে তুলে ধরে। এতে দেখানো হয়েছে—

  • কিভাবে সন্তানের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মা-বাবার সেবা ও শ্রদ্ধা করা।
  • পারিবারিক বন্ধন ও শৃঙ্খলা ভক্তির মাধ্যমে কিভাবে অটুট থাকে।
  • বৈদিক দর্শনে মা-বাবা শুধু অভিভাবকই নন, বরং দেবতাস্বরূপ।

নাটকটির প্রতিটি দৃশ্য দর্শকের হৃদয়ে পারিবারিক ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে।

মহারাষ্ট্রের বিটল ভগবানের কাহিনী: মাতৃ-পিতৃ ভক্তির অনন্য দৃষ্টান্ত

মহারাষ্ট্রে আজও পূজিত হন বিটল ভগবান (Vitthal / Vithoba), যিনি শ্রীকৃষ্ণ বা বিষ্ণুরই একটি রূপ। তাঁর আবির্ভাব কাহিনী সরাসরি মাতৃ-পিতৃ ভক্তির সঙ্গে যুক্ত।

ভক্ত পুন্ডলিক ছিলেন মা-বাবার সেবায় নিবেদিত প্রাণ। যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে দর্শন দিতে আসেন, তখনও তিনি মা-বাবার সেবা ছাড়তে রাজি হননি। তিনি ভগবানকে বলেছিলেন—
“প্রভু, প্রথমে আমার কর্তব্য হলো মা-বাবার সেবা। আপনি চাইলে এই ইটের ওপর দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন।”

ভগবান সেই ইটের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন এবং সেই ভঙ্গিতেই আজও মহারাষ্ট্রের পান্ডারপুর মন্দিরে তিনি পূজিত হন “বিটল ভগবান” নামে।

এই কাহিনীর শিক্ষা স্পষ্ট— যে ভক্ত মা-বাবার সেবা করে, ভগবান তার কাছেই স্বয়ং উপস্থিত হন।

কেন এই কাহিনী আমাদের নাটকের সঙ্গে যুক্ত?

প্রেমনিধি নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় “মাতৃ পিতৃ ভক্তি” নাটকটি মূলত সেই একই বার্তা বহন করে যা বিটল ভগবানের কাহিনী আজও মানুষকে শেখায়।

  • মা-বাবার সেবা সর্বোচ্চ ধর্ম।
  • পারিবারিক ভক্তিই সত্যিকারের ভগবান ভক্তি।

যেমন পুন্ডলিকের ভক্তি ভগবানকে মুগ্ধ করেছিল, তেমনি আমাদের নাটকেও দর্শকরা দেখবেন—সন্তানের প্রকৃত শক্তি ও সাফল্য আসে মা-বাবার আশীর্বাদ থেকে।

এই সংযোগের কারণে নাটকটি দর্শকদের মনে আরও গভীর প্রভাব ফেলবে। নাটকের প্রতিটি দৃশ্য যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে বিটল ভগবানের চিরন্তন কাহিনীর মতোই।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ