প্রেমনিধি নাট্যগোষ্ঠীর গর্বিত অতীত সদস্য: শ্রী গোবিন্দ চৌধুরী
শিল্প ও নাটকের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা থেকেই শ্রী গোবিন্দ চৌধুরীর যাত্রা শুরু। তিনি বাংলাদেশের প্রেমনিধি নাট্যগোষ্ঠীর একজন সক্রিয় ও নিবেদিতপ্রাণ সদস্য হিসেবে দীর্ঘ সময় নাট্যাঙ্গনে যুক্ত ছিলেন। তাঁর অভিনয়শৈলী, আন্তরিকতা এবং শিল্পের প্রতি নিষ্ঠা তাঁকে নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিটি পরিবেশনায় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
শ্রী গোবিন্দ চৌধুরী প্রেমনিধি নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। রাঙামাটি, চকরিয়া, কক্সবাজার, হাটহাজারী সহ দেশের অসংখ্য স্থানে তার প্রাণবন্ত অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন ।
তিনি প্রেমনিধি নাট্যগোষ্ঠীর অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- মাতৃ-পিতৃ ভক্তি
- মহাপ্রসাদের আগমন
- ভগবানকে
- লালাবাবু
- ত্রিগুণের প্রভাব
- মায়াজাল
২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর, নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে, শিল্পের প্রতি একাগ্রতা ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি সঙ্গে নিয়ে তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে পাড়ি জমান দূর শিল্পের শহর কলকাতায়—যা ভারতবর্ষের নাট্যকলার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। যাত্রার শুরুটা সহজ ছিল না; নানা প্রতিবন্ধকতা পথ পেরিয়ে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। নিজের প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম এবং স্বপ্নের জোরে তিনি নাট্যজগতে নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলছেন।
বর্তমানে শ্রী গোবিন্দ চৌধুরী ভারতের কলকাতার টাকি সরস্বতী নাট্যকলার সাথে যুক্ত আছেন এবং নিয়মিত নাট্যচর্চা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব প্রবীর মণ্ডল এবং প্রতিভাবান শিল্পী পার্থ পিতম দেব-এর সাথে বিভিন্ন নাট্যপ্রকল্পে কাজ করছেন। তাঁদের সহযোগিতায় তিনি মঞ্চে নতুন নতুন চরিত্র ফুটিয়ে তুলছেন এবং কলকাতার নাট্যপ্রেমীদের কাছেও প্রশংসা অর্জন করছেন।
শ্রী গোবিন্দ চৌধুরীর এই শিল্পযাত্রা নিঃসন্দেহে এক অনন্য অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গন থেকে কলকাতার মঞ্চ পর্যন্ত তাঁর যাত্রা, প্রতিভা, অধ্যবসায় ও একাগ্রতার মাধ্যমে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার এক অনুপ্রাণিত মুখ ।
তার এই সফল যাত্রা প্রেমনিধি নাট্যগোষ্ঠীকে এক অনন্য মার্গে প্রতিফলিত করেছেন । প্রেমনিধি নাট্যগোষ্ঠীর পরিবার সব সময় তাকে গর্বের সাথে অন্তরে
লালন করে । আমরা প্রার্থনা করি তাঁর শিল্পজীবন আরও সমৃদ্ধ হোক, তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে অভিনয়ের জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠুন।
0 মন্তব্যসমূহ